বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুশতাকের গায়েবানা জানাজা

  • মনিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি   
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:২৮

শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে শুক্রবার বিকেল পৌনে পাচটার দিকে এ জানাজা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অনেকে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে এ জানাজা হয়। এতে ইমামতি করেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুশাদ ফরীদি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সাংবাদিক ওয়াসীফ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আইসিটি আইনে এক মামলায় গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাবন্দি ছিলেন লেখক মুশতাক। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃত্যু হয়।

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, মুশতাক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

‘লেখক মুশতাকের হত্যাকারী রাষ্ট্র’ ব্যানারে কয়েক শতাধিক ছাত্র-জনতা শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ বিক্ষোভে নামে। জানাজায়ও উপস্থিত ছিলেন তারা।

‘সরকারকে দায় নিতে হবে’

গায়েবানা জানাজার আগে বক্তৃতায় মুশতাকের মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করে বক্তব্য দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যদি পেট্রল বোমা মারার হুকুমের আসামি হয়, তাহলে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য হুকুমের আসামি করা উচিত। ওবায়দুল কাদেরকে নোয়াখালীর সাংবাদিক হত্যার হুকুমের আসামি করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোশতাক হত্যার আসামি করা উচিত।

‘মুশতাকের খুনের দায় বর্তমান সরকারের এমপি মন্ত্রীকে নিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এই সরকার অসংখ্য মানুষকে কারাগারে নিয়েছে। এই আইন বাতিল করতে হবে।’

গায়েবানা জানাজার আগে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা

‘এখন সময় আওয়াজ তোলার’

তানজিম উদ্দিন খান বলেন, ‘আজকে কথা বলা খুব সহজ নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে আজ শুধু মুখের ভাষা কেড়ে নেয়নি, প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে। এর আগে অনেক গুম, খুন হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম তারা সবাই বিএনপি-জামাতের কর্মী।

‘কিন্তু আজ তা মুশতাক ভাই পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। উন্নয়নের কথা বলে তারা আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সবার আওয়াজ তুলতে হবে। এখনই সময় আওয়াজ তোলার। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

‘দেশে কোনো আইন নেই’

মুশতাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই বাংলাদেশে কোন আইন নেই। আমরা শুনেছি হাসপাতালে আনার আগেই মোশতাক মৃত্যুবরণ করেছেন। এই সরকার মোশতাককে হত্যা করেছে। মোশতাকের হত্যার দায় শেখ হাসিনার। এই ১২ বছরে প্রত্যেকটি অন্যায়ের দায় শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।

‘সংবিধানের ওপর আসলে বিচারক বাংলাদেশের জনগণ। আপনাদের প্রত্যেককেই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

মুশতাক হত্যার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেনি সাকি। জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে দাবিতে আগামী ৩ মার্চ সকাল এগারোটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে আমরা বিক্ষোভ পদযাত্রা করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর