ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে।
‘লেখক মুশতাকের হত্যাকারী রাষ্ট্র’ ব্যানারে দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা অংশ নিয়েছেন এই বিক্ষোভ সমাবেশে।
শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান৷ একই সঙ্গে একই আইনে গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি দাবি করেন।
ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা রাগীব নাইম বলেন, ‘যে রাষ্ট্রকাঠামো আমাকে কথা বলতে দেয় না, নিরাপদে থাকতে দেয় না, সে রাষ্ট্র আমি চাই না। আমরা এই ডিজিটাল আইন বাতিল চাই, এই ডিজিটাল আইন মানুষ মারে।
‘এটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত খুন। লেখক মুশতাক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত গঠন করতে হবে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
মুশতাক আহমেদ গত বছরের মে মাস থেকে কারাবন্দি ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তিনি মারা যান। তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছিল।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, মুশতাক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শাহবাগ মোড়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোনলকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বলি মুশতাক
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে ‘হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বামপন্থি ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, মুশতাক আহমেদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এই সরকারের কারণেই তিনি তিলে তিলে মারা গেছেন।
সমাবেশ থেকে সংগঠনটির সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। প্রতিবাদের ভাষাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে৷ এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বন্ধ করতে হবে। পুরো দেশটাকে আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। যার বলি হয়েছেন লেখক মুশতাক আহমেদ।’
সমাবেশ থেকে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মুশতাকের মুত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয়েছে। আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার।