নওগাঁয় মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার খবর শুনে একজন স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধামুইরহাট উপজেলার সাহাপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সাহার আলী মৃত্যুবরণ করেন। এর দেড় ঘণ্টা আগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) নতুন তালিকা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
চলতি মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি ধামুইরহাট উপজেলার ৮৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই হয়। এর মধ্যে ৩২ জনকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে জামুকার কমিটি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহার আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাবা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু জামুকার যাচাই-বাছাই প্রতিবেদনে বাতিল তালিকায় তার নাম থাকার কথা শুনে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।’
উপজেলার মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ফরমুদ হোসেন বলেন, ‘সাহার উদ্দীন তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি সহ্য করতে পারেননি।’
এ ব্যাপারে ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব গণপতি রায় বলেন, ‘যাচাই বাছাই প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে এ মৃত্যুর কোনো যোগসূত্র নেই। তিনি এক জন বয়স্ক ব্যক্তি। অসু্স্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া এটা প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।’
মৃত্যুকালে সাহার আলী স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তার গেজেট নম্বর-৩০৩৪। ধামইরহাট ইউনিয়নের গোপাইডাঙ্গা গ্রামে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সমাহিত করা হয়।
যাচাই বাছাইয়ে নাম বাদ দেয়া হলেও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করার কারণ জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়লেও তালিকা থেকে নাম এখনও বাদ যায়নি। তালিকায় যতক্ষণ নাম আছে, ততক্ষণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ও আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।