চট্টগ্রামে অবৈধভাবে পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে দুই সপ্তাহ তথা ১৪ কর্মদিবস সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আশিক রুবায়েত।
মনজিল মোরসেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত শেষ বারের মতো চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইটভাটা বন্ধ করে আগামী ১৪ মার্চ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।‘
তিনি বলেন, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করে- এমন ইটভাটার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় আদালত।
চট্টগ্রামের যে ৭১টি অবৈধ ইটভাটায় এর আগে জরিমানা করা হয়েছিল, সেগুলোসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেখানকার পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। তারপরও আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে রিটকারী। এরপর আদালত সে আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার শেষবারের মতো সময় বেঁধে দেয়।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৯) এর ৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ব্যতীত চালানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ১৪ ধারা অনুসারে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় শত শত ইটভাটা চলছে এবং এতে করে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ১৮২টি ইটভাটা জ্বালানি হিসেবে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।