বরিশালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের এক অফিস সহকারী নিজেকে প্রকৌশলী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে জালিয়াতি। আবদুস সবুর খান নামের ওই কর্মীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
সবুরের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আনইলবুনিয়া এলাকায়। তিনি বরিশাল নগরীর বৈদ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সবুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে প্রকৌশলী পরিচয় দিয়ে ভবনমালিকদের হয়রানি করছিলেন। তিনি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্ল্যান পাস করিয়ে দেয়াসহ ত্রুটির কারণে আটকে থাকা প্ল্যান ছাড়িয়ে দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
সম্প্রতি নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজিয়া হাউজিংয়ে আঞ্জুমান আরা বেগম নামের এক মালিকের কাছে যান সবুর। নিজেকে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী ফরিদ মাহামুদ বলে পরিচয় দিয়ে নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে আঞ্জুমান আরাকে হয়রানি শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে ওই ভবনমালিকের সন্দেহ হলে তিনি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
করপোরেশনের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে সবুরকে কৌশলে নগর ভবনে ডেকে আনেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করেন সবুর। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, সবুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সবুরকে থানায় রাখা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।