বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষমতায় এলে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের পুনর্বিচার: রিজভী

  •    
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:১৯

‘এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের অনেকের জড়িত থাকার কথা শোনা গেলেও সেগুলোকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি এখনও রহস্যের কুয়াশায় ঢাকা। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে এই মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের ঘটনার পর্দার পেছনের কুচক্রীরা অধরাই থেকে গেছে।’

বিএনপি ক্ষমতায় ফিরলে এক যুগ আগে বিডিআর বিদ্রোহের পুনর্বিচার করার ঘোষণা দিয়েছেন দলের মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, এই ঘটনায় যে তদন্ত হয়েছে, সেটা অসম্পূর্ণ, এর নেপথ্যের মানুষরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের এক যুগ পূর্তির দিন বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বক্তব্য রাখছিলেন রিজভী।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘পিলখানা সেনা হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হয়েছে বলেই জনগণ বিশ্বাস করে। ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন অপরাধপ্রবণ একটি দল আওয়ামী লীগ। এরা মসনদ আঁকড়ে রাখার জন্য প্রয়োজনে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে দ্বিধা করে না। এদের একমাত্র সাধনা ক্ষমতা লাভের আগে অথবা পরে কোনো সময়েই তারা ন্যায়নীতির নির্দেশ গ্রাহ্য না করা।

‘এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের অনেকের জড়িত থাকার কথা শোনা গেলেও সেগুলোকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি এখনও রহস্যের কুয়াশায় ঢাকা। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে এই মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের ঘটনার পর্দার পেছনের কুচক্রীরা অধরাই থেকে গেছে।'

২০০৯ সালের আজকের এই দিনে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদরদপ্তরে বিদ্রোহ করে সৈনিকরা। দুই দিনের বিদ্রোহে সে সময় বাহিনীটির মহাপরিচালক শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ হত্যা করা হয় মোট ৭৪ জনকে।

ওই ঘটনার পর ৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। আর হত্যাযজ্ঞের বিচার চলে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলায় ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে বেকসুর খালাসও দেয় আদালত। তবে উচ্চ আদালতে এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি এখনও।

এই ঘটনায় যারা সাজা পেয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই তৎকালীন বিডিআর সেনা। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিণ্টুকেও দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে মারা যাওয়ায় তার নাম পরে বাদ গেছে।

ওই বিদ্রোহের ঘটনায় বাহিনীর নামের পাশাপাশি বদল করা হয়েছে পোশাক। কাঠামোগত আরও নানা পরিবর্তনও আনা হয়েছে।

রিজভী মনে করেন, যে বিচার হয়েছে, সেটি যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনর্বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তখন ঘটনার নেপথ্যের নায়করা রেহাই পাবেন না।’

২৫ ফেব্রুয়ারিকে বিএনপি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করবে বলেও জানান দলটির মুখপাত্র।

রিজভী বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারির সেনা হত্যাযজ্ঞ ছিল আমাদের সেনাবাহিনীর শৌর্য, শক্তি ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি ভিনদেশি মাস্টারপ্ল্যান। এই ঘটনায় দেশীয় তাঁবেদাররা মীর জাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল।’

এক যুগ পেরিয়ে গেলেও অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি বলেও দাবি করেন বিএনপির মুখপাত্র।

পূর্ণাঙ্গ কোনো তদন্ত এখনও জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়নি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে জাতির সামনে প্রশ্ন থেকেই গেছে এই ভয়াবহ রক্তাক্ত ঘটনার পেছনে মূল কারা ছিল, পরিকল্পনাকারী কারা ছিল, কারা লাভবান হয়েছে?’

এসব প্রশ্নের রহস্য উদঘাটন করা হয়নি বলেও দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।

এ বিভাগের আরো খবর