বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দলিল জালিয়াত চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:১৭

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তান আমলের প্রায় সহস্রাধিক সরকারি স্ট্যাম্প ও মূল্যবান দলিল জাল করার উপকরণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সাব-রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিসের শতাধিক সিল ও সিলমোহরসহ মূল্যবান স্ট্যাম্প ও জাল দলিল তৈরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তান আমলের সহস্রাধিক সরকারি স্ট্যাম্প ও মূল্যবান দলিল জাল করার উপকরণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সাব-রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিসের দুই শতাধিক সিল ও সিলমোহরসহ দলিল জালিয়াত চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কানিজ ফাতেমার সার্বিক দিকনির্দেশনায় বিশেষ অভিযানে কোতোয়ালি থানার রাজার দেউরী, গেন্ডারিয়া ও যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- শফিকুল ইসলাম খোকন, আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল ইসলাম নজরুল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সিআইডি নিযুক্ত সোর্সের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে শফিকুল ইসলাম খোকনকে গ্রেপ্তার করে আলামত উদ্ধার করা হয়। শফিকুল ইসলামের দেয়া তথ্যমতে আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল ইসলাম নজরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শেখ ওমর ফারুক বলেন, এরা দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্ট্যাম্প থেকে বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করে লেখা ও চিহ্ন তুলে ফেলে জাল দলিল তৈরি করে নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। অব্যবহৃত স্ট্যাম্প অথবা বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত দলিলের লেখা বা চিহ্ন তুলে ফেলে টাকার বিনিময়ে তারা সুবিধামতো বা চাহিদামতো বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানির কাছে বা বিভিন্ন ভূমি জবরদখলকারী চক্রের কাছে বিক্রি করেছে বা হস্তান্তর করেছে বলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলাম পুরোনো দলিল সংগ্রহ করে দলিলে লেখা বা চিহ্ন কেমিক্যাল দিয়ে তুলে ফেলার কাজে বিশেষ পারদর্শী আবুল কালামের কাছে দিতেন এবং শফিকুল ইসলাম জাল দলিল তৈরি করতেন। তারা পরস্পর যোগসাজশে জমিসংক্রান্ত দেওয়ানি মামলাবাজদের পক্ষে তৈরিকৃত দলিল দিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা করে বলেও তারা স্বীকার করেছেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার ও গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তান আমলের প্রায় সহস্রাধিক সরকারি স্ট্যাম্প ও মূল্যবান দলিল জাল করার উপকরণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সাব-রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিসের শতাধিক সিল ও সিলমোহরসহ মূল্যবান স্ট্যাম্প ও জাল দলিল তৈরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম খোকনের কাছ থেকে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের স্ট্যাম্প ৮০৪টি ও বিভিন্ন সাব-রিজেস্ট্রি ও ভূমি অফিসের সরকারি কর্মকর্তার নামের ১০৫টি সিল জব্দ করা হয়।

আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের স্ট্যাম্প ১ হাজার ৪৫১টি ও ২০০টি কার্টিজ পেপারসহ দলিলের লেখা ও চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জব্দ করা হয়।

নুরুল ইসলাম নজরুলের কাছ থেকে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের স্ট্যাম্প ১ হাজার ১৪টি এবং বিভিন্ন সাব-রিজেস্ট্রি ও ভূমি অফিসের সরকারি কর্মকর্তার নামের ১০৫টি সিল জব্দ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর