জনসমক্ষে দলের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এসব শৃঙ্খলাভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বুধবারের এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যারা করেন, আওয়ামী লীগের যারা নেতৃস্থানীয় আছেন, তারা অবশ্যই দলীয় ফোরামে কথা বলতে পারেন, দলের সমালোচনা করতে পারেন। তাদের যদি নিজস্ব কোনো মত থাকে দলীয় ফোরামে অবশ্যই তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু দলের নীতির বিরুদ্ধে বা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে যদি কোনো কথা বলা হয় তা হলে সেটি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়। সে কথাটি গতকাল আমাদের সাধারণ সম্পাদক পুনরায় উল্লেখ করেছেন।’
‘তবে যারা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন কিংবা করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নোয়াখালীকে ‘দুর্গম’ এলাকা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘সেখানকার চলমান ঘটনা আওয়ামী লীগের জন্য কোনো বিষয় নয়।
‘একটি জেলার নেতৃদের নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। একটি রিমোট এরিয়ায় এই সমালোচনাগুলো হচ্ছে। এটি পুরো আওয়ামী লীগের জন্য কোনো বিষয় নয়। এটি কোনো সংকট নয়।'
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এই দেশে ধর্মকে ব্যবহার করে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এই অপরাজনীতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশে জঙ্গি দমন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে যদি বিএনপি এভাবে জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা না দিত বা জঙ্গিগোষ্ঠী সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি না করত, তা হলে জঙ্গিদের পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হতো।’
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে যারা পুরোপুরি একটা তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায় বা পাকিস্তানের মতো একটি রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চায়, তাদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করে।’
দলটির জোটের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘এখন তাদের ঐক্যজোটে কতটা ঐক্য রয়েছে সেটা একটা গবেষণার বিষয়। তারা যখন কথা বলেন তখন আশপাশে সেই নেতারা থাকেন, যারা স্লোগান দিয়েছেন বা দেন ‘‘আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান।"'