ফেনী সদরে ১২ ঘণ্টা পর খাবার কারখানার আগুন পুরোপুরি নিভিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুরো কারখানার আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। কোথাও আর আগুন নেই।
এত সময় লাগার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কারখানার ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। একদিক থেকে পানি ছিটাতে হয়েছে। এ ছাড়া কারখানার ভেতর পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না থাকায় বাইরে থেকে পানি আনতে সময় লেগেছে।
সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কাশিমপুরে ‘স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরি’ নামের কারখানাটিতে বুধবার রাত ১২টার দিকে আগুন লাগে। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের আটটি স্টেশনের ৯টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। সকাল ৮টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থল ছাড়ে।
কারখানাটিতে সেমাই, কেকসহ অন্যান্য শুকনা খাবার ছিল।
খাবার কারখানার আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। ছবি: নিউজবাংলা
কারখানার একাধিক শ্রমিক জানিয়েছেন, কার্টন থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। নিচতলা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলায়। এতে দুটি শেড পুরোপুরি পুড়ে গেছে। কারখানাটি ফেনী-মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় মহাসড়কে সে সময় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
স্টার লাইন ফুডের জেনারেল ম্যানেজার মো. রবিউল নিউজবাংলাকে জানান, বাজারজাত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা কোটি কোটি টাকার শুকনো খাবার ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।’
এদিকে আগুনের ঘটনায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কারখানার শ্রমিকরা।
কেক কারিগর আবুল হোসেন জানান, কারখানা আবার চালু করতে অনেক দিন লাগবে। তত দিন তারা বেতন পাবেন কি না বা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে কি না, এসব বিষয় তাদের ভাবাচ্ছে।