২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা আছে, তাদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
বনানীর সামরিক কবরস্থানে বৃহস্পতিবার পিলখানায় সেনাবাহিনীর শহিদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এমন দাবি জানান।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।
হাফিজ বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অনেককে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার দেশি-বিদেশি পরিকল্পনাকারীরা এখনো পর্দার আড়ালে রয়েছে।
‘দেশবাসীর সামনে তাদের পরিচিতি স্পষ্ট নয়। এই হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী শক্তিদের পরিচয় সবার সামনে উন্মোচন করা হোক।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড করা হয়েছিল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য। ঘটনার পর কারা লাভবান হয়েছে, সেটাও দেশবাসী জানতে চায়।
‘ঘটনার পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি কোড অব ইনকোয়ারি করা হয়। সেই ইনকোয়ারির রায় এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। সেটি প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া ধীরগতিতে এগোচ্ছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর লিভ টু আপিল ও আপিলের কার্যক্রম চালু হবে বলে মনে হচ্ছে না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচার বিভাগের কাছে আবেদন করছি।
‘এ হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তদন্তপূর্বক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি এ বছরের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা দ্রুত নিশ্চিত করা হোক। নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে বলে আমরা আশা করি।’
পিলখানায় নিহত সুবেদারের প্রসঙ্গ টেনে মেজর হাফিজ বলেন, ‘এ ঘটনার সময় একজন সুবেদার অফিসারদের রক্ষা করাতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারিয়েছেন। তার পরিবারকে এখনও কোনো ধরনের সুযোগসুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।’