সাভারের নবীনগর থেকে পাটুরিয়া সড়কটি চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাপান সরকার এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বুধবার বাংলাদেশ-জাপান যৌথ পিপিপি প্লাটফর্মের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহের কথা জানিয়েছে জাপান সরকার। অনলাইনে বৈঠকটির আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, পিপিপি অফিসের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ, ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. নাওকী, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও জাপান সরকারের পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক ভাইস মিনিষ্টার নোমুরা মাসাফুমি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পদ্মা সেতু চালু হলে নবীনগর থেকে পাটুরিয়া সড়কে চাপ আরও বাড়বে। ফলে সড়কটিকে চার লেন এবং এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাপানের পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার বলেন, তারা এ প্রকল্পে সহায়তা করতে চায়। তবে তার আগে সমীক্ষা চালানোর কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী পিপিপি অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নবীনগর –পাটুরিয়া সড়কটি বর্তমানে দুই লেনের। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই সড়কের গুরুত্ব আরও বাড়বে। ফলে একে চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা বলেছি, সড়কটিকে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করতে হলে প্রচুর অর্থের দরকার, যা বাংলাদেশ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে রাজি হয়ে অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে জাপান সরকার।’
২০৩০ সালে এর কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী আরেক কর্মকর্তা জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের আধুনিকায়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণেও সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান। দেশটির মিৎসুবিসি করপোরেশন এ প্রকল্পটি উন্নয়নে কাজ করবে।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ-জাপান যৌথ পিপিপি ফ্লাটফর্মের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মূলত দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে এ ফ্লাটফর্ম গঠন করা হয়।
গত চার বছর ধরে নিয়মিত এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। করোনার কারণে এবার ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে এই বৈঠকটি জাপানে হবে।