রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান ও ঢাকা উদ্যান হাউজিংসহ আশপাশের এলাকার মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম ‘ডিস টিপু’। তাকে আইনের আওতায় আনতে অনেক দিন ধরে র্যাব-২-এর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় র্যাব-২-এর আভিযানিক দল মোহাম্মদপুর মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি ডিস টিপুকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে র্যাব-২ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ডিস টিপু মূলত ক্যাবল টিভির সংযোগ বা ডিস ব্যবসা করার মাধ্যমে এলাকায় পরিচিত হয়ে ওঠেন।
২০১৪ সালে তাকে অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে এবং অবৈধ অস্ত্রের জোরে তিনি অপরাধ করে সহজেই পার পেয়ে যান।
তিনি এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, দলবলসহ জনসমাগমে হামলা, মারধর করে মানুষকে আহত করা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, হুমকিধমকি প্রদান ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত ছিলেন।
এইসব অপরাধে তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো তার অপরাধের খুব সামান্য অংশ।
তিনি আরও জানান, ডিস টিপু এলাকার কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কৌশলে মাদকে আসক্ত করে অপরাধের পথে নিয়ে আসতেন এবং কিশোর গ্যাং গঠন করে তাদের মাধ্যমে এলাকায় মাদক কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ করতেন। ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি কিশোর গ্যাং ঢাকা উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকায় তার পৃষ্ঠপোষকতায় মাদকের কারবার করে আসছে। তিনি বেড়িবাঁধ এলাকায় অধিকাংশ ছিনতাইয়ের জন্য দায়ী । আইনশৃংখলা বাহিনীর (বিশেষ করে র্যাব) নাম ভাঙ্গিয়েও তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অপরাধ কর্ম করে আসছিলেন।
এসব কাজে তার সব সময়ের সঙ্গী তার কথিত ভাতিজা সাদ্দাম ওরফে সিআইডি সাদ্দাম র্যাবের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় গত বছরের ৯ নভেম্বর একটি সুইস নাইফ ও প্রায় ১০০ পিস ইয়াবাসহ র্যাব-২ গ্রেপ্তার করে।
টিপুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তুরাগ এলাকার গাংচিল বাহিনীর লম্বু মোশাররফের সঙ্গে তার ব্যাপক সখ্য রয়েছে।
টিপুর নামে মোহাম্মদপুর থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। বুধবার তাকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ৭৭৩ পিস ইয়াবা, দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।