আপতকালীন সংকট মোকাবিলায় আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি– কাফকো থেকে এ সার কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দর প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে ৪৪০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট চারটি দরপ্রস্তাবের অনুমোদনও দেয়া হয়।
এর মধ্যে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি। অবশিষ্ট দুটি হলো শিল্প মন্ত্রণালয় ও সড়ক জনপথ বিভাগের।
বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ।
তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সরাসরি কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয় করবে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৫৬ ইউএস ডলার, যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
বৈঠকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুটি দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশ লোকজ কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো নির্মাণ। এটি তৈরিতে খরচ হবে ৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আতাউর রহমান খান ও মাহবুব ব্রাদার্স যৌথভাবে এ কাজ পেয়েছে।
অপরটি হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন ভবন নির্মাণসংক্রান্ত। এতে খরচ হবে প্রায় ৮১ কোটি টাকা। তাহের ব্রাদার্স ও হোসেন লিমিটেডকে এ কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের হাসাড়া পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।
১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে মীর আখতার হাসেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে এ কাজে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ।