রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে গ্রাহকদের ২৪ মাসে দ্বিগুণ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রো-পশ্চিমের একটি দল অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আল আমিন, মো. মামুন, মঞ্জুর রহমান মোহন, মোজাম্মেল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদত হোসেন সুমন ও আমিনুল ইসলাম।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক জানান, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে বিভিন্ন লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের অধিক মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিছুদিন পর পর ঠিকানা পরিবর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন অফিস খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
তিনি জানান, ‘সিআইডি অনুসন্ধান শুরু করে জানতে পারে যে, এই চক্রটি ৪০০ থেকে ৫০০ জনের কাছ থেকে আনুমানিক ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।’
টাকা বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই প্রতারণা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুইজন পলাতক রয়েছেন। তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে।’
গ্রেপ্তার ৯ জনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে ৫০টি প্লট/ফ্ল্যাট বুকিংয়ের আবেদন ফরম (১০টি পূরণকৃত), ৭টি এসএস আবাসনের লেনদেনসংক্রান্ত রেজিস্টার খাতা, অর্থ বিনিয়োগ চুক্তিপত্র, ৩৬টি ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ৩৫টি এসএস আবাসন লিমিটেডের আবেদন ফরম, লেনদেন সংক্রান্ত ছোট-বড় মোট ১৭টি খাতা, ২টি ডেবিট ভাউচার, ৬টি মানি রিসিপ্ট যেখানে টাকার পরিমাণ ১৪ লাখ, ৬ পাতা এসএস আবাসনের কমিশন শিট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুর রহমানের নাম লেখা একটি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।