বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নেয়ার অঙ্গীকার

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:৫১

মঙ্গলবার এক টেলি কনফারেন্সে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ অঙ্গীকার করেন।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মঙ্গলবার এক টেলিকনফারেন্সে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ অঙ্গীকার করেন।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েও করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরাসরি দেখা হওয়ার পরিবর্তে টেলিকনফারেন্স করায় দুঃখ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানরত ড. মোমেনের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে বৈশ্বিক ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন ব্লিংকেন।

ব্লিংকেন দুই দেশের সম্পর্ককে ‘ক্রমবর্ধমান ও সুদৃঢ় ভিত্তিতে’ গড়া হবে বলে মোমেনকে অবহিত করেন।

বৈঠকে মোমেন পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করে একটি শক্তিশালী ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য দেশটির নতুন প্রশাসনকে অভিনন্দন জানান। তিনি কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও টেকসই যোগাযোগ বজায় রেখে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত স্তরে উন্নীত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি দুদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।

এ সময় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক সাফল্য দেখতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানান ড. মোমেন।

টেলিকনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন।

দুই দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সুরক্ষা অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র।

টেলিকনফারেন্স সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইসের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গাঢ় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলার কথা বলেন তারা।

মিয়ানমার পরিস্থিতি, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন মোমেন ও ব্লিংকেন। শ্রম ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পায় বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, এ জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্লিংকেন।

তারা দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর