ধর্ষণের শিকার তিন শিশুকে ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না এবং একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুকে পুনর্বাসন করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে একটি বিধিমালা তৈরি করতে সরকারকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
সাত দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্যসচিবসহ ১৫ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তিনটি ধর্ষণের ঘটনা যুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করে চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
পরে আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় ৯৭ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে যায়। তার মানে কি ৯৭ শতাংশ ধর্ষণ হয়নি? এই খালাসের কারণ হলো রাষ্ট্র যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য দায়ভার ভিকটিম কেন নেবে। ধর্ষণের কারণে শিশুদের লেখাপড়া ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এসব শিশু স্কুলে পর্যন্ত যেতে পারছে না। তা হলে তারা কোথায় যাবে? এখানেই হলো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সারা পৃথিবীতে ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের পুনর্বাসনের বিধান রয়েছে।
‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি ধর্ষণের ঘটনায় ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, সেটি আমরা নজির হিসেবে দিয়েছি।’
‘শিশু মাইশাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার পর হত্যা করে ডোবায় ফেলেন প্রতিবেশী’, ‘তিন বছরেও স্বাভাবিক হতে পারেনি সেই পূজা’, ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার’- শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেয়।