বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাজী সেলিমের ঠিকানা কারাগার কি না, হাইকোর্ট জানাবে ৯ মার্চ

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:২৮

২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমের সাজা হয়। সে রায় ২০১৫ সালে বাতিল হয় হাইকোর্টে। তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল বেঞ্চ মামলাটি আবার শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল। তবে শুনানি আটতে থাকে পাঁচ বছর। গত অক্টোবরে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ছেলে ইরফান সেলিমের মারধোরের ঘটনার পর এই হাজী সেলিমের এই মামলাটি আবার সামনে আসে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আদালতের সাজা মেনে হাজী সেলিমকে ১৩ বছর কারাগারে থাকতে হবে কি না, তা জানা যাবে আগামী ৯ মার্চ।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত জানায়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও তার ছেলে সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমের সাজা হয়। সে রায় ২০১৫ সালে বাতিল হয় হাইকোর্টে। তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল বেঞ্চ মামলাটি আবার শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল। তবে শুনানি আটতে থাকে পাঁচ বছর।

গত অক্টোবরে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ছেলে ইরফান সেলিমের মারধোরের ঘটনার পর এই হাজী সেলিমের এই মামলাটি আবার সামনে আসে।

নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে ছেলে ইরফান সেলিমের মারধর করার ঘটনায় হাজী সেলিমের পুরনো মামলাটি সামনে আসে

গত ১১ নভেম্বর হাজী সেলিমের দুর্নীতি মামলার সব নথি তলব করে আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে ৮ ডিসেম্বর মামলার সব নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।

হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি, ১/১১ সময়ে তত্ত্বাধায়ক সরকারের সময় মাত্র তিন দিনে ট্রায়াল করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।

‘দুই. তার কোনো আয় বহির্ভুত সম্পদ খুঁজে পায়নি দুদক। তবে ১৯৮৬ সালে করা বাড়িটি ২০০৭ সালের মূল্য ধরে এসেসমেন্ট করেছে, যেখানে একটা ফিগার দেখানো হয়েছে।

‘তিন. মামলা চলাকালে তার স্ত্রী মারা যায়, তার স্ত্রীর সম্পদ পৃথক করা হয়নি। এভাবে সম্পদের অভিযোগ এনে কাউকে সাজা দেয়া যায় না।

‘আদালত সবপক্ষকে শুনে আগামী ৯ মার্চ রায়ের দিন ঠিক করে দেয়।’

সাজা নিয়ে কী হয়েছে

জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে লালবাগ থানায় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালত তাকে ১৩ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাজী সেলিম হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালে তাকে খালাস দেয়া হয়।

এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে হাইকোর্টকে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেয়।

ইরফান সেলিম কাণ্ডের পর এই মামলাটি দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। পরে আদালত নথি তলব করে আদেশ দেয়।

ইরফান সেলিম কাণ্ডে সামনে হাজী সেলিমের দখল

গত ২৫ অক্টোবর কলাবাগান এলাকায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে। পরের দিন হাজী সেলিমের পুরান ঢাকার বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। গ্রেপ্তার করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে।

পুরনো মামলা সচল হওয়ার পাশাপাশি হাজী সেলিমের অবৈধ দখল থেকে বহু সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে

এই ঘটনার পর হাজী সেলিমের নানা দখলের বিষয়টি সামনে আসে। নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে সরকারি খাস জমিতে সংসদ সদস্যের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পুরান ঢাকায় মৌলভীবাজারে অগ্রণী ব্যাংকের দখল করে নেয়া জায়গাও ব্যাংককে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে অবশ্য হাজী সেলিম সেই জমি আবার দখল করেছেন।

সম্প্রতি হাজী সেলিমের মদিনা পেট্রল পাম্পেও অভিযান চালিয়ে একাংশ ভেঙে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এই জমিটি সরকার বধির স্কুলকে বরাদ্দ দিলেও হাজী সেলিমের দখলে থাকার কারণে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায়নি।

হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির তিব্বত হল দখল করে নেয়ার অভিযোগও আছে।

এ বিভাগের আরো খবর