বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্দুকযুদ্ধ হলে কি পুলিশ পালিয়ে আসবে: বেনজীর

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:৫২

যখন কোনো বিপজ্জনক গ্যাংলিডার পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করবে, তখন কি আমরা শহিদ হয়ে যাব? সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন আইজিপির

সন্ত্রাসীরা গুলি করলে সেটা প্রতিহত করতেই সরকার পুলিশকে অস্ত্র দিয়েছে। প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষার জন্য সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রায় পাঁচ মাস পর গেল মঙ্গলবার কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধ হলে কি আমাদের সদস্যরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে চলে আসবে?

‘জকির ডাকাত, ভয়াবহ ডাকাত, যান কক্সবাজারে গিয়ে খবর নেন। গত তিন বছরে তার কাছ থেকে কমপক্ষে দেড়শ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি যখন গোলাগুলিতে সে মারা যায়, তখনও তার কাছ থেকে নয়টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

‘যখন এ ধরনের কোনো বিপজ্জনক গ্যাংলিডার আমাদের পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করবে, তখন কি আমরা শহিদ হয়ে যাব? নাকি পাল্টা হামলা করব?’

‘যেখানে আর্মড গ্যাং আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করবে সেখানে আমরা প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষায় সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করব। সরকারি অস্ত্র দেওয়া হয়েছে সেটাকে প্রতিহত করার জন্য। সরকার অস্ত্র দিয়েছে লাঠি হিসেবে ব্যবহারের জন্য না। লাঠি একরকম আর লিথল উইপন আরেক রকম। সরকার যদি শুধু লাঠি দেয়, আমরা লাঠিই ব্যবহার করব।'

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকার মানুষ জানে, জকির ডাকাত কী জিনিস, তার হাতে কত লোক অপহৃত হয়েছেন আর কতজন মারা গেছেন। তাই যেটা হয়েছে, সেটা আমি মনে করি প্রয়োজন হলে হবে, না হলে হবে না। এখানে ঘোষণা দিয়ে চালু করা বা বন্ধ করার কোনো বিষয় নাই।'

এর আগে সিপিএইচ-এর নবনির্মিত ভবন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘গত বছর মার্চে অতিমারি করোনার আবির্ভাব ঘটে, আর এতে সবচেয়ে বড় ক্যাজুয়ালটি হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের। করোনায় প্রায় ৮৩ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ২১ হাজার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।

‘কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল একটি জেনারেল হাসপাতাল ছিল, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আমরা এটিকে দ্রুত কোভিড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করি।

‘এখানে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা ছাড়াও প্রায় ১ হাজার ৫০০ করোনা আক্রান্ত সাধারণ নাগরিককে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনেশনের শুরু থেকে পুলিশ সদস্য ও সাধারণ মানুষ মিলে প্রায় ২৮ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনেশন করা হয়েছে, যা প্রতিদিনই দিয়ে যাচ্ছি।'

নতুন ভবনের ফলে এ হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা খুব চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নানা কারণে পুলিশে হার্টের রোগী, লাং, কিডনি ও ক্যানসারের রোগী প্রচুর। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করি তাদেরকে বাইরে ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য।

‘আজকের পর এখানকার চিকিৎসাসুবিধা অনেক বেশি সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বিভাগীয়- জেলা পুলিশ হাসপাতালগুলোকে উন্নত করার চেষ্টা করছি, যা পর্যায়ক্রমে করা হবে। পুলিশ মেডিক্যাল সার্ভিসেরও চেষ্টা চলছে।'

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিষয়ে একাধিকবার সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ পর্যায়ে বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলে আমরা মেডিক্যাল কলেজ বানাবো।'

এ বিভাগের আরো খবর