আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত করোনাভাইরাসের সনদের বিষয়ে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার পাশে থাকবে বাংলাদেশ।
দেশটির সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওই সূত্র জানিয়েছে, করোনা ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন চায় বাল্টিক সাগরের পূর্ব পারের দেশটি। এস্তোনিয়ার আহ্বানে সাড়া দিতে সময় নেয়নি বঙ্গোপসাগর পারের বাংলাদেশ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালের ২০ আগস্ট সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়া এস্তোনিয়া করোনার কারণে সমস্যায় রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের একেকটি দেশ একেক রকম টিকা ব্যবহার করছে। কিন্তু স্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিক সনদের মাধ্যমে এসব টিকার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় এস্তোনিয়া। এ জন্য তারা ঢাকার সহায়তা চেয়েছিল। বাংলাদেশও এ ইস্যুতে তাদের সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে এ ইস্যুতে সবগুলো দেশের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সনদের ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন চেয়ে চিঠি লেখেন এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কালাস।
শেখ হাসিনাকে লেখা কূটনৈতিক চিঠিতে কাজা কালাস বলেছিলেন, ‘করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে একেক দেশ একেক রকম টিকা ব্যবহার করছে। যে দেশ যে টিকা ব্যবহার করছে, করোনা সনদে ওই টিকার বাইরে অন্য টিকার স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে না।
‘এতে অনেকে টিকা নেয়া সত্ত্বেও অন্য দেশ ভ্রমণে গেলে এবং ভ্রমণে যাওয়া দেশে ওই টিকার ব্যবহার না থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই ভ্রমণকারীকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনেক কাজে বেশি সময়ও ব্যয় হচ্ছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, সবাই যদি বৈশ্বিকভাবে একটি করোনা সনদ ব্যবহার করেন, যেখানে সবগুলো টিকার বিষয়ে তথ্য থাকবে এবং যে ধরনের টিকা ব্যবহার হচ্ছে তা উল্লেখ থাকে, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এস্তোনিয়ার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে চায় বাংলাদেশ। এ ইস্যুতে দেশটিকে বাংলাদেশের সমর্থন জানিয়ে দ্রুতই চিঠি দেয়া হবে।