রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নামে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ পিছিয়েছে।
এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল বুধবার। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন দেয়নি।
এ কারণে ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আগামী ৩ মার্চ প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ ঠিক করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আশেক ইমামের আদালতে মামলা করেন মার্কেটের দোকানমালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু।
ওই দিনই আদালত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। সেই থেকে দুইবার প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ পিছিয়েছে।
মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও সাতজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
মামলার আরজিতে বলা হয়, তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে নেন।
বাদী এ লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তার প্রাণহানির চেষ্টা করেন। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিলেও কোনো ধরনের বৈধ দলিল-দস্তাবেজ দেননি।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করে গত ৮ ডিসেম্বর তা ভাঙতে অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি।
উচ্ছেদে দোকান হারানো ব্যবসায়ীরা জানান, বৈধতা পেতে সাঈদ খোকন মেয়র থাকার সময়ে দোকানপ্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দিয়েছেন তারা।
অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও সে সময় দোকানের বৈধতা পাননি তারা।