কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শূন্য হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনে রোজার আগেই নির্বাচন শুরুর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত পাপুলের এমপি পদ চলে যাওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
২৮ জানুয়ারি পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে কুয়েতের একটি আদালত। সংসদ সচিবালয়ের গেজেট অনুযায়ী ওই দিন থেকেই আসনটি শূন্য হয়েছে।
ইসির উপসচিব (নির্বাচন) আতিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, সোমবার সংসদ সচিবালয়ের প্রজ্ঞাপন ইসি কার্যালয়ে পৌঁছার পর থেকেই এই আসনের তফসিলপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ইসি।
ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের চিঠি পেয়েছি। কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই সেখানে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে।’
এর আগে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘রোজার সময়ে সাধারণত কোনো নির্বাচন করা হয় না। তাই এ আসনের ভোটও রোজার মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সম্ভবত তা দেওয়াও হবে না। বিষয়টি অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় আছে।
‘ঈদের পরে নির্বাচন করলে ৯০ দিন পার হয়ে যাচ্ছে কি না, সেটা হিসাব করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রোজার আগেই নির্বাচন করার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে কমিশন বৈঠকে।’
গত সোমবার সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান সই করা প্রজ্ঞাপনে এমপি পদ হারান পাপুল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাপুল সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী এমপি থাকার যোগ্য নন। এ কারণে সংবিধানের ৬৭(১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি থেকে তার লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য হয়েছে।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৮(৪) বিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্যের আসন শূন্য-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথাও বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
কুয়েতে পাপুল গ্রেপ্তার হন গত বছরের ৬ জুন। আর তার সাজার রায় গণমাধ্যমে আসে গত ২৮ জানুয়ারি।
শাসনতন্ত্রের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত কেউ আর এমপি হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হন না।