বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর পৌনে ছয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বিএসএমএমইউর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসক আক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন ইব্রাহিম খালেদ। তিনি সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পতনের কারণ অনুসন্ধানে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন তিনি।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।
পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৩ সালে ব্যাংকিং পেশায় যুক্ত হন।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের ছেলে খোন্দকার সাঈদ নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার বেলা ১১টা থেকে তার বাবার মরদেহ সেগুনবাগিচার কচিকাঁচার মেলায় রাখা হয়। তার মরদেহ নেয়া হবে বায়তুল মোকাররম মসজিদে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা শেষে গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। গোপালগঞ্জের সদরের ব্যাংকপাড়ার পারিবারিক কবরস্থানে বাদ এশা শেষ জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে।
রাষ্ট্রপতির শোক
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সুষ্ঠু বিকাশে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ যে মেধা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা এ দেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।