গণটিকা প্রয়োগের ১৪তম দিনে সারা দেশে টিকা নিয়েছেন ২৪ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। এ সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৬৩০ জনের শরীরে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। সব মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৩ জন। টিকা নেয়ার তালিকায় পুরুষ গ্রহীতা ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩ জন ও নারী ৮ লাখ ৫৭ হাজার ২০ জন।
এর সঙ্গে যোগ হবে আরও ৫৬৭ জন, যাদের গণটিকার আগে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনসহ এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৩০ জনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়। পরে টানা চার দিন ধরে বাড়তে থাকে টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা। টানা কয়েক দিন এই সংখ্যা ২ লাখের ওপরে ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সোমবার ঢাকার ৪৬টি ও ঢাকার বাইরে ৯৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে টিকা কার্যক্রম। ১৪তম দিনেও জেলাভিত্তিক সবচেয়ে বেশি টিকা দেয়া হয়েছে ঢাকায়; সবচেয়ে কম দেয়া হয়েছে বান্দরবানে।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ২৯ হাজার ৭ জন। ঢাকা বিভাগে মোট টিকা নিয়েছেন ৬২ হাজার ২৩৯ জন। আর রাজধানীতে চারজনসহ ঢাকা বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সাতজনের ক্ষেত্রে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৩৭ হাজার ৭০৮ জনকে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন। এদের মধ্যে দুইজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
খুলনা বিভাগে ২২ হাজার ৮১৬ জনকে টিকা দিলে চারজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বরিশালে টিকা দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৪৪৩ জনকে। এই বিভাগে কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
সিলেট বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৯ হাজার ৮৬ জনকে। এদের মধ্যে দুই জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা দেয়া হয় ৮ হাজার ১৮৮ জনকে। এই বিভাগে কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
রংপুর বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১৫ হাজার ৭৬৫ জন। এই বিভাগে একজনের শরীরে পাওয়া গেছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।