‘অল দ্য প্রাইম মিনিসটারস মেন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচারের কারণে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার ডিরেক্টর জেনারেল (এডিটিং কাউন্সিল) মোস্তফা সোওয়্যাগসহ চার জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চলবে কি না, সে বিষয়ে শুনানি হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন সায়ের জুলকারনাইন সামি, তাসমিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যান।
২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম (সিএমএম) শহিদুল ইসলামের আদালতে মামলাটির গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে নতুন করে শুনানি হয়।
এ দিন আদালত জানতে চায়, বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এই দেশে মামলা চলতে পারে কি না।
জবাবে আইনজীবী আবদুল খালেক বলেন, ‘আমরা দণ্ডবিধির ৩ ও ৪ ধারা ব্যাখ্যা করে বলেছি, এই মামলা বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে চলতে পারে।’
দণ্ডবিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের আইনে বিচারযোগ্য যেকোনো অপরাধ দেশের বাইরে সংঘটিত হলেও তা দেশীয় আইনে বিচার করা যাবে।’
আর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিককেও এই আইনের আওতায় বিচার করা যাবে।
এ ছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলা আমলে নেয়ার ক্ষমতার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেন এই আইনজীবী ।
আইনজীবী আবদুল খালেক বলেন, ‘আদালত আমাদের ব্যাখ্যা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। আশা করছি, আদালত আমাদের দেয়া আইনি ব্যাখ্যা গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নিয়ে আদেশ দেবেন।’
শুনানি শেষে মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন বিচারক।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।
আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন ৷
অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে যড়যন্ত্র করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১৪৯/৩৪ ধারায় মামলার আবেদনটি করা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করে আল জাজিরা।