মানব পাচারের অভিযোগে চার মামলায় আগাম জামিন আবেদন নাকচ করে মতিউর রহমান নামে এক আসামিকে পুলিশে দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শফিউল্লাহ হায়দার। জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
শুনানির পর আদালত মতিউর রহমানের জামিন আবেদন বাতিল করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস বলেন, ‘আসামি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটে মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা হয়। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট এবং গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
‘দীর্ঘদিন পলাতক থেকে তিনি আজ আগাম জামিন নিতে এসেছেন। এ জামিন সরাসরি খারিজের জন্য প্রার্থনা করি। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে আসামিকে থানায় হস্তান্তর করতে বলেন। পরে তাকে সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বরত পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়।’
সুপ্রিম কোর্টের এডিসি লুবনা মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মতিউর রহমান নামে একজন আসামি আমাদের কাছে আছে। আদালতের আদেশের কপি পেলে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হবে।’
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।