অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শফিকুল আহসানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার নবম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার এ রায় দেন।
দণ্ডিত শফিকুল আহসান এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
শফিকুলকে দুর্নীতি দমন আইনের ২৬ (২) ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
একই আইনের ২৭ (১) ধারায় শফিকুলকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্জিত ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ১৯২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত।
বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার হক আবাস এলাকার প্রয়াত ডা. মোজাম্মেল হকের ছেলে একেএম শফিকুল আহসান। তার বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার ৬৮৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনে দুদক। ২০১০ সালের ১ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঁইয়া রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন।
তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর একই কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তী সময়ে আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শফিকুল আহসান, তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামেই অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছিলেন। তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামে আলাদা আলাদা মামলা আদালতে বিচারাধীন।