বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সালমান শাহ হত্যা: ফের পেছাল চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানি

  •    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:৩৮

সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘সালমান শাহর মা লন্ডনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। তাই নারাজি দেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করেছি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির নতুন তারিখ দিয়েছেন।’

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির তারিখ আবারও পিছিয়েছে।

তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

মামলার বাদী সালমান শাহর মা লন্ডনে থাকায় প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি জমার পক্ষে তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন।

সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) বিচারক সাইদুজ্জামান শরীফ শুনানির জন্য ২০ এপ্রিল তারিখ ঠিক করেন।

নীলা চৌধুরীর আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কাছে যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ ছিল, সব আদালতের মাধ্যমে আমরা পিবিআইকে সরবরাহ করেছিলাম। কিন্তু তদন্তে সেসব পাশ কাটিয়ে গেছে পিবিআই। সাক্ষ্যপ্রমাণের প্রতিফলন ঘটেনি।

‘মামলার বাদী সালমানের মায়ের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়েছে। আমরা এ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দিব।’

ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘সালমান শাহর মা লন্ডনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। তাই নারাজি দেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করেছি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির নতুন তারিখ দিয়েছেন।’

গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে। ওই দিন সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের ডেসপাচ শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ওই ঘটনায় তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী (প্রয়াত) অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেন।

১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন জানান কমরউদ্দিন। এ সময় আদালত ইউডি মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একত্রে তদন্ত করতে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেয়।

হত্যার অভিযোগের তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন আহমদ রিভিশন মামলা করেন।

২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।

২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। এই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী তার ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে নারাজি আবেদন করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন।

এ বিভাগের আরো খবর