আমদানি-রপ্তানির ইনভয়েস জালিয়াতির মাধ্যমে দেশ থেকে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা পাচার করছে।
পাচারের এই আর্থিক পরিমাণ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা এই টাকা পাচার করছেন বলে জানিয়েছে দুদক।
সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদকের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
তিনি বলেন, ‘কেবল পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধেই আমদানি-রপ্তানির আড়ালে ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছি আমরা।’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কিছু গার্মেন্টস মালিকদের বিরুদ্ধে কিছু পাবলিক সার্ভেন্টের সহযোগিতায় অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে বাংলাদেশ হতে প্রতি বছর গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। এ ছাড়া আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রপ্তানির আড়ালে ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের একটি অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সচিব জানান, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আলাদাভাবে তিন সদস্য ও চার সদস্যর দুটি অনুসন্ধান দল তদন্ত করছে দুদক। অনুসন্ধান দল প্রতিবেদন জমা দিলে তা পর্যালোচনা করে কমিশন আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ওভারইনভয়েসিং সংক্রান্ত কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি কেউ অর্থপাচার করে তবে সরকার তা প্রতিরোধ করুক, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।
‘কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতকে নিয়ে এ ধরনের ঘৃণা উদ্রেকমূলক বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো একজনকে উদাহরণ হিসেবে এনে কোনো সেক্টরকে দোষারোপ করা ওই সেক্টরের প্রতি অবিচার বলেই আমি মনে করি।’