যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজের দুর্ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী একই মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন স্থগিতের সতর্কতা জারি করা হলেও এর প্রভাব পড়ছে না বাংলাদেশে। এ-সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনাও পায়নি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
দেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানের বহরে চারটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বোয়িংয়ের যে মডেলটি দুর্ঘটনায় পড়েছে সেটি হলো বোয়িং ৭৭৭ টু হানড্রেড ইআর মডেলের। এগুলোতে ব্যবহার করা হয় প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ৪০০০ ইঞ্জিন।
তবে বিমানের কাছে যে উড়োজাহাজগুলো রয়েছে, সেগুলো বোয়িং ৭৭৭ থ্রি হানড্রেড ইআর মডেলের। দুটোর ইঞ্জিনের ধরন আলাদা।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়া উল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বোয়িং ট্রিপল সেভেনের আকাশে ওড়া বন্ধের কোনো নির্দেশনা এখনো আমাদের কাছে আসেনি। নির্দেশনা পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে মডেলের উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়েছে সেটির মডেল ও ইঞ্জিন ভিন্ন। এ কারণে আমাদের উড়োজাহাজ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।’
উড্ডয়নের কিছু পর মাঝ আকাশে দেখা দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি।
‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেসব দেশের এয়ারলাইনসগুলোতে একই মডেলের উড়োজাহাজ রয়েছে, তাদেরকে জানিয়ে দেয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। যেহেতু আমাদের বহরের উড়োজাহাজগুলো ভিন্ন মডেলের এ কারণে বোয়িং কিছু জানায়নি।’
বোয়িং ৭৭৭ মডেলের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গত শনিবার মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ার পর ওই মডেলের উড়োজাহাজের উড্ডয়ন স্থগিত করতে বলেছে মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং নিজেই।
বোয়িং কর্তৃপক্ষ জানায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় উড়োজাহাজ পরিচালনাবিষয়ক প্রশাসন বা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই মডেলের বিমানগুলো আকাশে উড়বে না।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইনসহ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ারলাইনসগুলো তাদের বহরে থাকা উড়োজাহাজগুলো উড়াল স্থগিত রেখেছে।