সাবেক স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে রোববার আতিকুল ইসলাম বাবু নামে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফেরেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানান।
এআইজি জানান, আতিকুল ইসলাম বাবু তার সাবেক স্ত্রীকে নানাভাবে হয়রানি করছিলেন। বিভিন্ন সময় তাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে তার স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বাধাগ্রস্ত করছিলেন। এ কারণে ওই নারী অত্যন্ত শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি কারও সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেও লজ্জিত বোধ করছিলেন।
এরকম পরিস্থিতিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর একজন আত্মীয় বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী ওই আত্মীয় ওই নারীকে হয়রানির প্রমাণস্বরূপ তার সাবেক স্বামীর অশ্লীল গালাগাল ও হুমকিসংবলিত একটি অডিও টেপ মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে পাঠান।
পরে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, প্রশাসন ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ রয়েছে, এমন ভয় দেখিয়ে ওই নারীর সাবেক স্বামী দীর্ঘদিন তাকে হয়রানি করে আসছিলেন, যা আর কোনোভাবেই তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। অবশেষে তিনি পুলিশের পরামর্শ ও সহায়তা চান।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তাৎক্ষণিকভাবে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামকে বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
পরে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় এডিসি মো. আশরাফুল্লাহর নেতৃত্বে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম রমনা থানা এলাকা থেকে ওই নারীর সাবেক স্বামী আতিকুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ২০০৬ সালে ওই নারী পল্লবী থানায় আতিকুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। ওই বছরই তাদের ডিভোর্স হয়। ওই মামলায় বাবুর সাজা হওয়ায় তিনি পালিয়ে বিদেশ চলে যান। বিদেশ থেকে এসে তিনি আবার তার সাবেক স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, ভিকটিম যেহেতু এখন আমার এলাকায় থাকেন, তাই তিনি আমার থানায় জিডি করেছেন। পরে আমরা তার সাবেক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছি। ২০০৬ সালের মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।