বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে জান্তা সরকারের সাড়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ

  •    
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪৯

‘তারা সরাসরি আমাদের কিছু বলেনি। পরে আমরা যেগুলো শুনেছি আপনাদের মাধ্যমে, টেলিভিশন-পত্রিকার মাধ্যমে। এবং সেখানে তারা অঙ্গীকার করেছে প্রত্যাবাসনের যে ব্যবস্থা, তাকে তারা সম্মান দেখাবে। তবে আমাদের সঙ্গে আর কোনো আলাপ হয়নি।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের নতুন সামরিক সরকারের কাছ থেকে এখনো কোনো প্রস্তাবনা আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তবে তিনি আশা করছেন, জান্তা সরকার প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকারকে সম্মান জানাবে।

রোববার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের নতুন সরকার আসার পরে শুধু একটি নোট ভার্বাল সব মিশনকে পাঠিয়েছে, বাংলাদেশকেও পাঠিয়েছে। সেখানে তারা বলেছিল কেন তারা টেকওভার করেছে। ফোর মিলিয়ন ফ্রড ভোট হয়েছে এসব।

‘এরপর তারা সরাসরি আমাদের কিছু বলেনি। পরে আমরা যেগুলো শুনেছি আপনাদের মাধ্যমে, টেলিভিশন-পত্রিকার মাধ্যমে। এবং সেখানে তারা অঙ্গীকার করেছে প্রত্যাবাসনের যে ব্যবস্থা, তাকে তারা সম্মান দেখাবে। তবে আমাদের সঙ্গে আর কোনো আলাপ হয়নি।’

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্থাপিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা

রোহিঙ্গারা আশির দশক থেকেই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসতে থাকে। তবে সবচেয়ে বড় স্রোতটা আসে ২০১৭ সালের আগস্টের পর। সব মিলিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এদের মধ্যে এক লাখকে বাংলাদেশ ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চায়। এরই মধ্যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে নেয়া হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। এ জন্য দেশটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে মিয়ানমার পিছিয়ে আসে।

মিয়ানমারের সঙ্গে এই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোচনার মধ্যেই চলতি মাসের শুরুতেই এক সেনা-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সামরিক সরকার। বন্দি করা হয় মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সুচিসহ কয়েক ডজন বেসামরিক নেতা-কর্মীকে। এর ফলে আবার হোঁচট খেয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যাবাসনে আমরা আমাদের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। এখন কিছুটা পর্যবেক্ষণে আছি।

‘ওখানে কী হচ্ছে না হচ্ছে, আমরা তো অত জানতে চাই না। আমাদের একটাই দাবি, একটাই অগ্রাধিকার, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গারা তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। এটা নিয়ে আমরা সব মহলে এখনও বলে বেড়াচ্ছি।’

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সংঘাত যুদ্ধ, মূল কারণ হচ্ছে বিদ্বেষ, হিংসা। এগুলো যদি আমরা দূর করতে পারি, প্রত্যেক মানুষ যদি মানবতার জয়গান গাই, তাহলে আমরা পৃথিবীতে একটি টেকসই শান্তি স্থাপন করতে পারব।’

এদিকে সকালে বিদেশি তরুণ কূটনীতিকদের নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্থাপিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে অনুষ্ঠিত হয় একটি আলোচনা অনুষ্ঠান। সেখানে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর