সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণের ফুলেল শ্রদ্ধাগ্রহণে প্রস্তুত শহিদ মিনার। শ্রদ্ধা নিবেদন নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।
এলাকাটি পাঁচ সেক্টরে ভাগ করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। রাজধানীর শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শনিবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
‘র্যাবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শহিদ মিনার এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে অবজারভেশন চেক পোস্ট বসানো, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য্যন্য নিরাপত্তা সংস্থা আমাদের সঙ্গে দায়িত্বে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরের মতো এ বছরও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ মধ্যরাত থেকে সারাদেশে শহিদ মিনারে শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে। এ বছর করোনা মহামারির কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থান এলাকাসহ বিভিন্ন কবরস্থানে জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানাতে জনসমাগম হবে।’
নিরাপত্তা বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘শহিদ মিনার এলাকায় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া র্যাবের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কয়াড শহিদ মিনার এলাকায় প্রয়োজনীয় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদা পোষাক ও ইউনিফর্ম টহলের মাধ্যমে র্যাবের সদস্যরা শহিদ মিনার এলাকায় নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শহীদ মিনারে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া শহিদ মিনার এলাকায় সন্দেহজনক সব হোটেল, গেস্ট হাউস, বস্তি এবং অন্যান্য সন্দেহভাজন স্থানে রেড তল্লাশির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শহিদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়গুলোতে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, তাদের ব্যাগ, পুষ্পস্তবক ইত্যাদি তল্লাশির মাধ্যমে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ মিনারে আসা নারীদের প্রয়োজনে নারী র্যাব সদস্যরা তল্লাশি করবেন। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সিসিটিভির কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে র্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে।’
হুমকি বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি পাই নি। তবে আমরা কোনো কিছু হালকাভাবে নিচ্ছি না। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিশেষ কোনো তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই।’