বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৃথক শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুরান ঢাকার নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। কিংবদন্তি এই অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
এটিএম শামসুজ্জামানের বর্ণাঢ্য অভিনয়জীবন স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অসাধারণ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত বুধবার তিনি হাসপাতালে যান। শুক্রবার বিকেলে সেখান থেকে সূত্রাপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান। ২০১৫ সালে ভূষিত হন একুশে পদকসহ নানা সম্মাননায়।
১৯৪১ সালে পুরান ঢাকায় জন্ম নেয়া এই অভিনেতা চলচ্চিত্রে পা রাখেন ১৯৬৮ সালে, নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘এতটুকু আশা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। নিজ অভিনয়গুণে বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক খল ও কমেডি চরিত্রকে অমর করে গেছেন তিনি।
এ ছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক, কাহিনীকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।