বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবারও মহাসড়ক অবরোধ, মশাল মিছিলে ববি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:০৮

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহতরা হামলাকারীদের নামের তালিকা দেন। এরপরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার না করায় অবরোধে ফিরেছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল‌টিমেটাম শেষ হওয়ার পর আবারও ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ক্যাম্পাসের ফটকের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় তারা সেখানে মশাল মিছিলও করেন।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোলা-পটুয়াখালী-বরগুনা, কুয়াকাটাসহ আটটি রুটের যাত্রীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার মধ্যরাতে মেসে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহত ব্যক্তিরা হামলাকারীদের নামের তালিকা দেন। এরপরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে।

এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের করা মামলাকে ‘দায়সারা’ অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ অভিযোগ তোলেন, তিন জনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে।

তারা হলেন বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন, বরিশাল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মানিক এবং মামুন নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।

সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিনতে পারা হামলাকারীদের নাম জানিয়েছে। লিখিত আকারে নাম দিয়েছে প্রশাসনের হাতে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটি মামলায় যুক্ত করেনি। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মারধর করে জখম করা হয়েছে।

‘মূলত মারধর না, শিক্ষার্থীদের হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ‍এ ছাড়া ৪৬ জন শিক্ষার্থীর মানিব্যাগ, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করেছে সন্ত্রাসীরা।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ মুহসিন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে ‘মারধরের’ অভিযোগ ‍এনে মামলা করেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা তদন্ত করে দেখব, সেই রাতে হামলাকারী কারা ছিল। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এর আগে বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মামলা করার আশ্বাসে তারা অবরোধ স্থগিত করেন ও মামলায় অভিযুক্তদের নাম সংযুক্ত করতে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে বিআরটিসি কাউন্টারের এক কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত ও এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এর প্রতিবাদে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগ রয়েছে, একই দিন রাতে নগরীর রূপতলী হাউজিংয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি মেসে গিয়ে পরিবহনশ্রমিক ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আহত ১১ শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর