পারিবারিক কলহের জেরে সিলেট নগরীর উপকণ্ঠ বিআইডিসি এলাকার বাসায় সৎমা ও ভাইবোনকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় আটক কিশোর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায়ও স্বীকার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে বিআইডিসি এলাকার পীর মহল্লার বাড়িতে সৎছেলের ছুরিকাঘাতে নিহত হন গৃহবধূ রুবিয়া বেগম ও তার ৯ বছরের মেয়ে মাহা বেগম। গুরুতর আহত হয় সাত বছরের ছেলে তাহসিন। শুক্রবার ভোরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তাহসিন।
সিলেটে সৎমা, বোন ও ভাই হত্যায় আটক কিশোর। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা আবদাল হোসেন ব্যবসার কাজে দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে বিআইডিসি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার প্রথম স্ত্রী ও সেই পক্ষের দুই ছেলেমেয়ে থাকে বিয়ানীবাজারে গ্রামের বাড়িতে। ছয় মাস আগে ব্যবসায় সহযোগিতার জন্য প্রথম স্ত্রীর ছেলেকে শহরের বাসায় নিয়ে আসেন আবদাল।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, বিআইডিসির বাসায় আসার পর থেকে সৎমায়ের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিশোরের অভিযোগ, সৎমা তাকে নির্যাতন করতেন। সেই ক্ষোভ থেকে সে ছুরিকাঘাতে তিন জনকে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সৎমা, বোন ও ভাইকে কুপিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই কিশোর। শয়নকক্ষের খাটের তোশকে আগুন ধরিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। আগুন দেখে তারা ওই কিশোরকে আটকে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। ওই কিশোরকে থানায় নিয়ে যায়। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়ে আবদালের অবস্থা পাগলপ্রায়।
ওসি জানান, মা-মেয়ের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। ছেলেটির ময়নাতদন্ত শেষে তিন জনের মরদেহ শনিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।