বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক ভবন পানিতে, ঝুঁকিতে বহু

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:২৭

পরিত্যক্ত ঘোষণা করা পাঁচটি ভবন সম্পর্কে সানজিদা বলেন, ‘ধসে পড়া ভবনটির মতো এর সবগুলোই তৈরি করা হয়েছে ডোবার ওপর। সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমরা আরও যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

ঢাকার কেরানীগঞ্জের পূর্ব চড়াইল এলাকায় ডোবার ওপর যে বহুতল ভবনটি পড়ে গেছে, তার আশপাশে আরও একাধিক ভবন আছে একই ঝুঁকিতে।

সবগুলো ভবনই তৈরি করা হয়েছে যেনতেনভাবে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব সাবধানতা ও প্রকৌশলগত শর্তগুলো পূরণ করতে হয়, তার কিছুই করা হয়নি।

পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ভবনগুলোর তিনটি দোতলা। দুটি একতলা, যার মধ্যে একটি একতলা আধা পাকা বাড়িও আছে।

যে এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকা বছরের আট মাস থাকে পানির নিচে। স্থানীয় বাসিন্দারা জলাভূমিতে বিমের ওপর বাড়ি তৈরি করেন। নিজেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজমিস্ত্রি দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। প্রশাসনিক অনুমতি নেয়ার নিয়মকানুনের ধারও ধারেন না বহুজন। আর স্থানীয় প্রশাসনও এত দিন বিষয়টি নিয়ে গা করেনি।

শুক্রবার সকালে তিনতলা আবাসিক ভবনটি ধসে পড়ার পর উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে আরও পাঁচটি ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়। পরে সেগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার সানজিদা আক্তার (দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।

ধসে পড়া তিনতলা ভবনটির মালিক জানে আলম নামের এক ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী। ২১ বছর আগে জানে আলমের বাবা ডোবার ওপর চিকন বিম তুলে প্রথমে ভবনটির একতলা পর্যন্ত নির্মাণ করেন। পরে তা আস্তে আস্তে তিনতলা করা হয়।

আজ সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভবনটি ধসে পড়ার শব্দ পেয়ে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে আটকে পড়াদের উদ্ধারে হাত লাগায়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

ভবনটির নিচতলায় মালিক জানে আলম তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে, মা, গৃহকর্মী ও দুই স্বজনকে নিয়ে থাকতেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ছিল ফাঁকা। দুর্ঘটনায় ভবনে থাকা সবাই কম-বেশি আহত হন। এর মধ্যে জানে আলম ও তার ছেলে সাদাফ ছাড়া বাকিদের মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উদ্ধার অভিযানে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো রকম নিয়মনীতির তেয়াক্কা না করেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে ডোবার ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল ভবনটি। এটি পুরোটাই বেআইনি।’

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ধসে পড়া তিন তলা বাড়ি। ছবি: সাইফুল ইসলাম

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার সানজিদা আক্তার জানান, ধসে পড়া ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

আর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা পাঁচটি ভবন সম্পর্কে সানজিদা বলেন, ‘ধসে পড়া ভবনটির মতো এর সবগুলোই তৈরি করা হয়েছে ডোবার ওপর। সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমরা আরও যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

সকালে যে বাড়িটি ধসে পড়েছে, সেখানে সাত জন মানুষ বসবাস করত। তাদের কেউ অবশ্য গুরুতর আহত হননি। দুর্ঘটনার পর পর স্থানীয়রা ছুটে এসে পাঁচ জনকে উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে দুই জনকে।

বাড়ির মালিক জানে আলম জানিয়েছেন, বাড়িটি নির্মাণে তার ৪০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো পাইলিং করা ছিল না।

এ বিভাগের আরো খবর