রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ভবনের সাইনবোর্ড, নামফলকে বাংলা না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এসময় এসব ভবন ও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় লেখার জন্য ৭ দিন সময়ও দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ ও রামপুরা এলাকায় ডিএনসিসির ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিন কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর ভ্রাম্যমাণ আদালত সাইনবোর্ড বাংলায় না লেখায় ১০টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে আহমেদ টাওয়ার, এ আর টাওয়ার, সফুরা টাওয়ার, ইরেকার্ট হাউজ, বোরাক টাওয়ার, এসুরেন্স, ভিশন কেয়ার, মটকা কিচেন, চাটাই ও আরও দুটি প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া ওই এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংককেও জরিমানা করা হয়।
রামপুরা এলাকায় সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।
এদের মধ্যে রয়েছে আল কাদেরিয়া হোটেল, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স, অরেঞ্জ ফার্নিচার, রানার মোটরসাইকেল, বোলিং জুতার দোকান, ভিভো মোবাইল ফোনের দোকান।
সাইনবোর্ড অপসারণ করা পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হলো জামা-কাপড়ের দোকান ফেস, খাবারের দোকান ফিশারম্যান, কাপড়ের দোকান রেমন্ড, কাপড়ের দোকান টার্গেট ও মোবাইল ফোনের দোকান ভিভো।
ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘বাংলায় সাইনবোর্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমরা জরিমানা করছি। বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকি। ভাষার মাসকে সম্মান জানানোর জন্য বিশেষভাবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা এখনও আইন মানছেন না আমরা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব।’
সাইনবোর্ড বাংলায় না লেখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌসের ভ্রাম্যমাণ আদালত রামপুরা এলাকায় ক্রিসেন্ট সুপার শপ ও স্প্যান জুতার দোকানকে জরিমানা করে। একই এলাকায় আরও পাঁচটি দোকানকে জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানার ভ্রাম্যমাণ আদালত।
হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অনুযায়ী সকল প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ছাড়া) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে হাইকোর্টের আদেশটি ডিএনসিসি এলাকায় বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিএনসিসিকে। এছাড়া ডিএনসিসি থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার সময় ট্রেড লাইসেন্স বইয়ে ‘সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক’ শর্ত দেয়া হয়।