মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অপরাধ দমনে মে মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে অপরাধের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন সভার সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজকের সভায় আশ্বস্ত হয়েছি যে, বর্তমান অত্যাধুনিক যুগে সেই সমস্ত ব্যবস্থা আমরা মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করব। সেখানকার ক্রাইমকেও আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখব।’
‘কোনোদিনই শরণার্থীরা স্থায়ী নাগরিক হয় না। সাময়িক সময়ের জন্য আসে।’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সঙ্গত কারণে, যারা দেশ ত্যাগ করে আসে, মানুষের জীবনের যখন কোনো নিরাপত্তা থাকে না, তখন তারা একটু ডেসপারেট হয়ে যায়। সেই হিসাবে শরণার্থীরা একটু ডেসপারেট-ই থাকে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনা যথেষ্ট কঠিন। আমরা সফলতার সঙ্গে সেই কাজটাও সফলভাবে করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জেনেছি সেখানে অনেক সময় ক্রাইম হয়। সেগুলোর সত্যতা আছে। তবে ক্রাইমকে দমন করার জন্য আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর এবং যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা ব্যতয় ঘটিয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সেটা যেন আর করতে না পারে সেজন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আগে যেমন আমাদের বাউন্ডারি ওয়াল ছিল না, ওয়াচ টাওয়ার ছিল না, মোবাইলের মাধ্যমে সবকিছু কন্ট্রোল করা, সিকিউরিটি জন্য যা যা পদক্ষেপ নিতে হবে, যা যা দরকার আমরা প্রায় ৯০ ভাগ শেষ করেছি।’
তবে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি। মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডকে মোকাবিলা করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
আর এসবের কৃতিত্ব জনগণকে দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জনগণ সহযোগিতা করছে বলেই, জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছেন, ফলে আমরা আইনশৃঙ্খলাকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে এসব সম্ভব না। জনগণের সহযোগিতা আছে বলেই আমরা সফল হচ্ছি। এটা পুলিশি রাষ্ট্র নয় যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’