বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে দেশের সব বৈদেশিক মিশনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বলেন, ভ্রান্ত ধারণা যেন জনমনে গ্রোথিত না হয় সে কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে সারা বিশ্বে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন নির্দেশের কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে সব মিশনকে সজাগ থাকতে হবে। অনেকেই গুজব রটিয়ে, প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। সেগুলোকে রুখে দিতে হবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে সারা বিশ্বে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্ন গ্রোথিত করেছেন মানুষের হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা অর্জন উভয় ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।’
‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের আলোচনায় অতিথিরা।
বঙ্গবন্ধু সবসময় আইনানুগ আন্দোলন করেছেন ও সবাইকে নিয়ে কাজ করেছেন। তাই তার আন্দোলনগুলো জোরদার হয়েছে। সারাজীবন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি জেলে কাটিয়েছেন। গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে বঙ্গবন্ধু চিরঞ্জীব হয়ে আছেন বলে উল্লেখ করেন মোমেন।
মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে।
আয়োজনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন, মাতৃভাষার প্রশ্নে আপস হলে এ জাতির জীবনী শক্তি অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে। তাই ভাষার অধিকার আদায়ের বিষয়ে তার অবস্থান ছিল পর্বতের মত অটল।’
আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। আলোচক হিসেবে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।