রাজধানীতে এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম।
স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং বেসরকারি আবাসন খাত সংশ্লিষ্টসহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার সকালে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন (রিহ্যাব) ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভলপারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীতে এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব নির্ধারণ করে জোনভিত্তিক ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে। শহরের কোন অঞ্চলে কত তলা বিল্ডিং হলে মানুষ সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং ঢাকা একটি বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরিত হবে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এলাকাভিত্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী এবং যাত্রাবাড়ি অথবা ওয়ারীতে বসবাসকারী মানুষ কেন সমান মূল্য বহন করবেন?’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই এলাকাভিত্তিক ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এটি নিয়ে সমালোচনা হলেও এ বিষয়ে আমাদের একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।’
ঢাকাকে বাসযোগ্য, দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য ড্যাপের মত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই ড্যাপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
গত ২ সেপ্টেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন ড্যাপের খসড়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। এতে জনঘনত্ব অনুযায়ী ভবনের নির্দিষ্ট উচ্চতা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।