করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫ লাখ খামারিকে ৫৬৯ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। আরও ২ লাখ খামারিকেও প্রণোদনা দেয়ারও পরিকল্পনা করেছে সরকার।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ও বিকাশ এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রণোদনার অর্থ দেয়া হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই প্রণোদনাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বলছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ খামারিকে মোট ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সরকারের তিন মেয়াদে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ পুষ্টিজাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দেয়া। পুষ্টিসম্মত খাবারের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যেই এ খাতে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।’
২০৩০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্য হারকে শূন্যে নিমিয়ে আনতেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বড় অবদান রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈশ্বিক এই মহামারির মধ্যেও প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার কথা জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের দেশের মূল শক্তি জনগণের পরিশ্রম। তাদের উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা বারবার পরীক্ষিত। এ জন্য করোনা আমাদের তুলনামূলকভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এই প্রণোদনা প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আরও প্রায় দুই লাখ খামারিকে প্রণোদনা দেয়ার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।’
এ জন্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে কোনোভাবে মধ্যস্বত্বভোগীরা প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য শেখ হাসিনার এ প্রণোদনা সহায়তা নষ্ট করতে না পারে।’