বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই জেলাকে মাদকমুক্ত করতে পাইলট প্রকল্প

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:১০

মন্ত্রী বলেন, ‘মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়ার, তারা নেবেন। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশকে আমরা এই প্রজেক্টের আওতায় আনতে চাচ্ছি।’

দিনাজপুর, কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামকে মাদকমুক্ত করতে পাইলট প্রকল্প নিয়েছে সরকার। পর্যায়ক্রমে সব জেলাতেই এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানিয়েছে সরকার।

বুধবার সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের এখনও কমিটি গঠন করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গ্রেটার (বৃহত্তর) দিনাজপুর এবং কক্সবাজারসহ চিটাগাং জোনকে মাদকমুক্ত করার জন্য পাইলট প্রজেক্টের (প্রকল্প) সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে কার্যপরিধি, কার্যপদ্ধতি ইত্যাদি ঠিক করে অ্যাডিশনাল আইজির (পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক) নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হবে।

‘মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়ার, তারা নেবেন। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশকে আমরা এই প্রজেক্টের আওতায় আনতে চাচ্ছি।’

সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

প্রকল্প বাস্তবায়নে কমিটির মূল কাজ কী হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ হবে তিনটি দিককে চিহ্নিত করা এবং তাদের দমন করা- মাদকসেবী, মাদকবিক্রেতা এবং যারা মাদকের কাজে বুঝে বা না বুঝে সহযোগিতা করে।’

মাদক প্রসঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মাদককে যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আজকের সভার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মাদক প্রতিরোধে গঠিত কমিটি এক বছর ধরে নিষ্ক্রিয় উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে প্রত্যেক উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি করে কমিটি ছিল। সেগুলোর সক্রিয়তা বাড়াতে, জনমত সৃষ্টিতে, যুব সমাজকে অনুপ্রেরণা দিতে এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর