সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে হত্যাচেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দিকে অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যান। এ সময় পুলিশ তাকে ধাওয়া করে আটক করে।
ওই ব্যক্তির নাম ফয়সল আহমদ ফাহাদ। তিনি পরিবহন শ্রমিক বলে জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ।
নগরীর চৌহাট্টায় বুধবার দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।
সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে বিদ্যুৎ লাইন অপসারণ, ফুটপাত সংস্কার ও সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই কাজ এখন শেষের পথে। চৌহাট্টা এলাকায় যখন ফুটপাতের কাজ শুরু করেছিলাম তখন এখানকার অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে বলেছিলাম। কিন্তু শ্রমিকরা বারবার টালবাহানা করছিল। শেষমেষ তারা সময় চেয়েছিল। আমরা সময় দিয়েছি।
‘তারা পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা চেয়েছে। আমি তাদের নগরের ভেতরে খালি জায়গা খুঁজতে বলেছি। এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছি।’
মেয়র বলেন, ‘আজ সকালে হঠাৎ করে তারা সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি বিষয়টি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে জানাই। পরে কাউন্সিলর, ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে এখানে আসি।
‘এখানে আসার পর তারা আচমকা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে; হামলা চালায়। এতে কাউন্সিলর, পুলিশসহ অনেকে আহত হয়েছেন। আমার দিকেও একজন বন্দুক নিয়ে তেড়ে এসেছিলে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, মেয়র, কাউন্সিলর ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আলাপচারিতার একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকরা আচমকা হামলা চালায়। এ সময় কাউন্সিলরসহ সিসিকের অন্তত ৮ জন আহত হন।
মেয়রকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বন্দুক নিয়ে ফয়সাল তেড়ে আসেন বলে দাবি আব্দুল আলিমের।
সিটি মেয়র বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নগরবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারও বাধায় উন্নয়ন কাজ আটকাবে না, উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।’