পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ থেকে একটা পাখিও ঢুকতে পারবে না বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পাখিরা পরিচ্ছন্ন, তারা ‘অপরিচ্ছন্ন’ ভারতে যাবে না।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
এই সমাবেশে রিজভী ভারতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা অমিত শাহের পাশাপাশি নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের মির্জাকে নিয়েও কথা বলেন।
অমিত শাহ গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও ঠাকুরনগরে জনসভায় বলেছেন, ‘বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে সীমান্ত দিয়ে কোনো মানুষ দূরে থাক, একটা পাখিও ঢুকতে পারবে না।’
জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমি বলি বাংলাদেশের পাখিরা যাবে কেন? আপনাদের দেশের গবেষকরা বলছেন শতকরা ৫০ ভাগের ঊর্ধ্বে ভারতে কোনো স্যানিটেশন নাই, রেললাইনের ধারে, রাস্তার ধারে মানুষ বাথরুম করে। আমাদের পাখিরা তো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তারা কেন ইন্ডিয়াতে যাবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। ছবি: নিউজবাংলা
‘ধারণা ছিল না মির্জা কাদের গরু চোর’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা গরু চুরির মামলায় জেল খেটেছেন বলে ফেনী আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য টেনেও কথা বলেন রিজভী।
সম্প্রতি মির্জা কাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামার পর কাদেরের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন বিএনপি নেতা।
আজ তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে একটি খবর পড়ে আমার মনটা খুব খারাপ। আমার একটা ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ বেশ বড় ধরনের চোর। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক চুরি করেছে, তারা সোনালী ব্যাংকে চুরি করেছে, তারা বেসিক ব্যাংক চুরি করেছে, তারা ৫২টি ক্যাসিনো করেছে, যাদের অর্থমন্ত্রী ৪ হাজার কোটি টাকা চুরিকে বলেছে এটা কোনো টাকাই না, তাদের সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল এরা বড় ধরনের চোর।
‘কিন্তু গতকালকে ফেনীর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেছেন, কাদের মির্জা ছিলেন গরু চোর। আওয়ামী লীগের নেতারা যে গরু চোর হতে পারে এইটা আমার ধারণা ছিল না আগে। এই খবরে গতকাল থেকে আমার মনটা খারাপ। এত নিম্নমানের চুরির সঙ্গেও আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত থাকতে পারে, এই ধারণা আমার ছিল না।’
কাদের মির্জা সম্প্রতি নোয়াখালী ও ফেনীতে নিজ দলের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন। পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের মধ্যে মঙ্গলবার ফেনী আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন। দাবি করেন, বসুরহাটের মেয়র গরু চুরি মামলাতেও জেল খেটেছেন।
কাদের মির্জা অবশ্য এসব অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন।