সরকারি নিয়োগ ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন, এখন থেকে যত কর্মচারী-কর্মকর্তা নিয়োগ হবে, সেটা সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে বিসিএস বা যে পর্যায়েই হোক না কেন, ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য পরীক্ষার সঙ্গে এখন ডোপ টেস্ট যুক্ত হবে।
‘সরকারি চাকরিরত কারও বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার ডোপ টেস্ট করা হবে। এ ক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত আছে। তবে তা আমরা ব্যাপকভাবে শুরু করিনি।’
এ বিষয়ে দ্রুত নীতিমালা তৈরি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করতে হবে। এটা নীতিমালা হিসেবে গ্রহণ করে প্রচারিত হয়নি। তবে তা প্রক্রিয়াধীন। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুতই তা করা হবে।’
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোপ টেস্ট করা হলে মাদক গ্রহণের আগে ভীতি কাজ করবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
পড়ালেখার ক্ষেত্রে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ডোপ আনা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে শিক্ষার্থীরা আর বিপথগামী হবে না।’