বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে সিটি মেয়রের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫১

অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গেলে সিটি মেয়র ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায় পরিবহন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ সেখানে গেলে তাদের সঙ্গে চলে সংঘর্ষ।

সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় বাধা দিতে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়। আহত হন কাউন্সিলর ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আধঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সংঘর্ষ থামাতে ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক জনকে আটকও করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার বলেছেন, ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আধা ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ ১৪ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজনকে আটকও করা হয়েছে।

সিটি মেয়র সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়কের সংস্কারকাজ চলছে। এই সড়কের চৌহাট্টা-দরগাহ এলাকার ফুটপাত ও সড়কের বেশ খানিকটা অংশ দখল করে অনেক দিন ধরেই অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার শ্রমিকরা। প্রতিদিন সেখানে শতাধিক গাড়ি পার্কিং করা থাকে।গত শনিবার এই অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে যায় সিটি করপোরেশন। মেয়রের নেতৃত্বে এই অভিযানে বাধা দেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে ফুটপাত ও সড়ক ছেড়ে দিতে তাদের তিন দিনের সময় বেঁধে দেন মেয়র।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, তিন দিন পর বুধবার দুপুরে কাউন্সিলর, ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে যান মেয়র আরিফুল।

তখনও পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক ও ফুটপাতের দখল ছাড়েননি দেখে তাদের সঙ্গে কথা বলতে যান মেয়র ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে সেখানে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু করতে চাইলে কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালান পরিবহন শ্রমিকরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি করপোরেশনের কর্মীরাও তখন পাল্টা হামলা চালান। দুই পক্ষের এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা চালান পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের কারণে চৌহাট্টা-আম্বরখানা, চৌহাট্টা-রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা-মিরবক্সটুলা সড়কে আধা ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় কাউন্সিলরসহ অন্তত ৮ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।তিনি বলেন, ‘হামলার একপর্যায়ে বন্দুক নিয়ে এক জন মেয়রের দিকে তেড়ে আসেন। পুলিশ তখনই তাকে আটক করে। আমাদের আশঙ্কা, মেয়রকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন।’এ বিষয়ে পরিবহন শ্রমিকদের কেউ কথা বলতে রাজি চাননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেছেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় স্ট্যান্ড করে আছি। উচ্ছেদের আগে আমাদের বিকল্প একটি জায়গা দেয়ার জন্য মেয়রের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্ত তিনি তা না শুনে আজ দলবল নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করেন।’

ওই শ্রমিকের দাবি, সংঘর্ষে তাদের পাঁচ থেকে ছয় জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর