বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দীপন হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:১০

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এটাই ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আট আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বুধবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দীপন হত্যা মামলার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথিপত্র ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এটাই ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।

হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানোর পর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করতে পারেন।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোনো ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে থাকে।

১০ ফেব্রুয়ারি দীপন হত্যায় আট জনের ফাঁসির রায় দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ, সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। তারা সবাই জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।

তাদের মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিনই তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

রায়ে বলা হয়, জিহাদের অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলাম বা আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের লক্ষ্য ছিল ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকদের হত্যা করে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বন্ধ করা এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ধ্বংস ও নস্যাৎ করা।

আসামিদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়া এবং মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা বা হুমকির মুখে ফেলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

এ বিভাগের আরো খবর