পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিট পুলিশিংয়ে সমাজে অপরাধ কমে আসছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক সম্মেলনে কক্ষে প্রান্তিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি এ কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে আমরা বিট পুলিশিং চালু করেছি। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। সফলভাবে বিট পুলিশিং করলে সমাজে অনেক অপরাধ কমে আসবে।’
জনগণের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও সম্পর্ক বাড়াতে হবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘অপরাধের সংঘটন কমাতে প্রো অ্যাকটিভ পুলিশিং এর পাশাপাশি প্রিভেন্টিভ পুলিশিং চর্চা বাড়াতে হবে। বিট পুলিশিং চর্চা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে।’
সভায় পুলিশপ্রধান প্রতিটি মামলা নিবিড়ভাবে তদারকির মাধ্যমে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মনিটরিং অব্যাহত রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘পুলিশের আচার-আচরণে ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন এসেছে। ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আমরা চাই, থানায় আগত সেবাপ্রার্থীর সঙ্গে যে কোনো প্রকার খারাপ আচরণের কথা বাস্তব নয়, গল্প ও কল্পকথার অংশ হোক। সেটি বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছি।
‘জনবান্ধব হতে হলে থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করতেই হবে, তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে, সেবাপ্রার্থীদের প্রতি সাপোর্টিভ হতে হবে। পেশীশক্তি নয়, পুলিশের কাজে আইনি সক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।’
সভায় মাদকমুক্ত পুলিশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে করেন বেনজীর আহমেদ। বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে যে কোনো প্রকার অবৈধ সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে পুলিশের যে কোনো সদস্যের প্রতি জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া শৃঙ্খলার সঙ্গে পুলিশের আপোষ করা যাবে না উল্লেখ করেন আইজিপি। সে জন্য নিজ বাহিনী ও অন্য মানুষের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক রাখার কথা বলেন তিনি। এর বাইরে অন্য কোনো স্বার্থের সম্পর্ক রাখা যাবে না বলে জানান সভায়।
সভায় জেলা পুলিশ সুপাররা মাদক মামলা, ওয়ারেন্ট তামিলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয়ভাবে পদোন্নতি পরীক্ষা ও বিট পুলিশিং কার্যক্রমের সুফল তুলে ধরেন।
তারা বলেন, বিট পুলিশিংয়ের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন, ইভটিজিং, দাঙ্গা, মারামারিসহ নানান অপরাধ কমে এসেছে, যার সুফল জনগণ পাচ্ছে।