কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভাই-ভাবিসহ পরিবারের চার জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় শোনার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্তরা কাঠগড়ার কাচের বেষ্টনী ভাঙচুর করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নিহত সুলতান মণ্ডলের বড় ভাই মনতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আমির হোসেন, জাকির হোসেন, জালাল গাজী ও আজমত আলী শেখ। তাদের মধ্যে জালাল গাজী পলাতক।
সাত বছর আগের এই মামলায় খালাস পেয়েছেন নাইনুল ইসলাম নামের এক জন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, দুপুরে এ রায় দেন জেলা দায়রা জজ আব্দুল মান্নান। এ সময় সাত আসামির মধ্যে ছয় জন উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনজন জামিনে ছিলেন। রায়ের সময় এই তিনজনসহ কারাবন্দি তিন আসামিও ছিলেন আদালতে।
তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায় শোনার পর আসামিরা আদালতের ভেতরে ভাঙচুর চালান। তারা কাঠগড়ার বেষ্টনী ভেঙে ফেলেন। এতে তাদের হাত কেটে রক্তাক্ত হয়। পরে তাদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।’
মামলায় বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকায় ঘরের ভিতর একই পরিবারের শিশুসহ চার জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তারা হলেন সুলতান মণ্ডল, তার স্ত্রী হাজেরা বেগম, মেয়ে রোমানা ও ছয় বছরের নাতনি আনিকা। হামলায় গুরুতর আহত হন সুলতানের মেয়ে মৌসুমি আক্তার।
এ ঘটনায় সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভূরুঙ্গামারী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মনোয়ারুল হক আলো, আমীর আলী, এটিএম এরশাদুল হক চৌধুরী শাহিন ও আসাদুল হক।