রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত ড্যাশ এইট মডেলের আরও দুটি উড়োজাহাজ। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ৪ মার্চ এ দুটি উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডিতে বিমানের নতুন বিক্রয় কেন্দ্রের বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড থেকে কেনা এই উড়োজাহাজ দুটি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৪ মার্চ দেশে আসবে।
‘এই উড়োজাহাজগুলো বহরে যুক্ত হওয়ার পর বিমান তার অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীদের আরো উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।’
বিমানের কেনা তিনটি ড্যাশ এইটের প্রথমটি বহরে যুক্ত হয় গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর। বিমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করা হবে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, নতুন উড়োজাহাজগুলো দিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, কাঠমান্ডু, গুয়াংজু এবং ব্যাংককে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটেও ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহার করা হবে এ উড়োজাহাজ।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘দেশের এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে পথ প্রদর্শক বিমান প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করেছে। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও নির্দেশনায় বিমানকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
‘সেবার মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিমান অত্যাধুনিক ও তারুণ্যদীপ্ত বহরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অপারেশনের পরিধি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করছে। জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বিমানের বহরে ইতিমধ্যে নতুন ১২টি বোয়িং ও একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজসহ সর্বমোট ১৩টি সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করে বিমানকে যাত্রীদের আস্থা ও ভালোবাসার ব্র্যান্ডে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই লক্ষ্য সামনে রেখে ইতিমধ্যে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
‘বিমানকে যাত্রীবান্ধব বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে যাত্রীদের আরো কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
উদ্বোধন হওয়া বিমানের ধানমন্ডি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে এখন থেকে টিকেট কেনার পাশাপাশি বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের উৎপাদিত মুরগি, ডিম, মাছ, মৌসুমি শাকসবজি, গরুর দুধ ও গরুর মাংসও কেনা যাবে।